Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

নামুজা ইউনিয়নের মাজার শরীফের নাম

১। নামুজা নিরাইল মাজার শরীফ

২। নামুজা শরীষা তলা মাজার শরীফ।

বিস্তারিত

হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে (নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে) সফর করোনা। মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আক্বসা ও আমার এই মসজিদ (মসজিদুন্‌ নববী)।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
এই হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিম্নোক্ত হাদীস শরীফখানা বর্ণনা করেন, “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ঘরে নামাজ পড়ে তবে তার এক নামাজে এক নামাজের সওয়াব পাবে। আর যদি পাঞ্জেগানা মসজিদে নামাজ পড়ে তবে এক নামাজে ২৫ নামাজের সমান সওয়াব পাবে। আর যদি জুমুয়ার মসজিদে এক নামাজ পড়ে তবে ৫০০ নামাজের সওয়াব পাবে আর যদি মসজিদুল আক্বসায় এক নামাজ পড়ে তবে ৫০ হাজার নামাজের সওয়াব পাবে। আর মসজিদুন্‌ নববীতে যদি এক নামাজ পড়ে তবেও ৫০ হাজার নামাজের সওয়াব পাবে। আর যদি ক্বাবা শরীফে এক নামাজ পড়ে তবে ১ লাখ নামাজের সওয়াব পাবে।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত)
এছাড়াও মসজিদে কুবায় দু’রাকাত নামাজ আদায় করলে এক ওমরার সওয়াব হয়। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, “যে ব্যক্তি মসজিদে কুবায় দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে সে এক ওমরার সওয়াব পাবে।” (নাসাঈ, আহ্‌মদ)
এ প্রসঙ্গে অন্য হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক শনিবার মসজিদে কুবায় গমন করতেন হেটে অথবা সওয়ার হয়ে এবং ওখানে দু’রাকাত নামাজ আদায় করতেন।” (মুত্তাফাক আলাইহি)
শেষোক্ত হাদীস শরীফদ্বয় হতে এটা সুস্পষ্ট যে, প্রথমোক্ত তিন মসজিদ ছাড়াও চতুর্থ মসজিদ- মসজিদে কুবায় ফযীলত হাছিলের জন্য নিয়ত করে সফর করা জায়িয বরং সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। তাই শুধুমাত্র এ চার মসজিদে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে সফর করা জায়িয। যেমন আল্লামা মুহম্মদ হাসান শাহ্‌ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি সর্বপ্রথম উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় বলেন, “এর মর্ম হলো জীবিতদের জন্য ফায়দাদায়ক। বরকত হাছিলের জন্য এ তিন মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র সফর করা বিধেয় নয়। কেননা বাকী মসজিদগুলো বরকত হাছিলের দিক দিয়ে সমান। এছাড়া অপরাপর স্থানে সফর করা নিষেধ নয়। যেমন- আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনের জন্য, ইল্‌ম অর্জনের জন্য, বুজুর্গগণের যিয়ারতের জন্য, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা মুবারক, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম-এর মাজার শরীফ যিয়ারত ও সমস্ত ইমামগণের মাজার শরীফসমূহ যিয়ারত করা নিষিদ্ধ নয়।”
হাফিজে হাদীস, শায়খ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় বলেন, “এ হুকুমের উদ্দেশ্য হলো শুধু মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত। এ মসজিদত্রয় ব্যতীত অন্যান্য মসজিদে নামাজের জন্য সফর করা নিষিদ্ধ। তবে যদি মসজিদ ব্যতীত সালেহ্‌গণের (কবর বা মাজার) যিয়ারত, জীবিতগণের সাথে সাক্ষাৎ, ইল্‌ম অর্জন, ব্যবসা ও ভ্রমনের জন্য সফর করে তা এ হাদীস শরীফের হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হবে না।” (ফত্‌হুল বারী ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৬৫)
ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়খ আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় শরহে সুয়ূতী কিতাবে বলেন, “এটা শুধু মসজিদের জন্যই খাছ।”
উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় আল্লামা মুহম্মদ ইউসুফ নিব নূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “জমহুর উম্মত-এর মাযহাব হলো রওজা মুবারক যিয়ারত করা উত্তম ইবাদত, আর নিয়ত করে সফর করা শুধু জায়িযই নয় বরং মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত এতে কোন প্রকার অসুবিধা নেই।” (মাআরিফুস সুনান, শরহে তিরমিযী ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৩২৯)